চীনে ইয়্যু ছিং বেহালা এক ধরনের ব্যাপক জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র । ইয়্যু ছিং বেহালা দিয়ে সুন্দর সংগীতের সুর বাজানো যায় এবং এতে মানুষের আনন্দপূর্ণ অনুভূতি ও পরিবেশের অফুরন্ত সৌন্দর্য ফুটে উঠে ।
ইয়্যুন ছিং বেহালা এমন এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র , যে বাদ্যযন্ত্র চীনের হান জাতি এবং দক্ষিণ পশ্চিম চীনের ই জাতি , মিয়াও জাতি , তুং জাতি ও পাই জাতিসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে খুব জনপ্রিয় রয়েছে । এক হাজার বছরেরও বেশি পুরানো ইয়্যু ছিং বাদ্যযন্ত্রের উদ্ভব হয় ৬১৮ থেকে ৯০৭ খ্রীষ্টাব্দে চীনের থাং রাজবংশের আমলে । সংগীতের সুর বাজানোর জন্য ইয়্যু ছিং বেহালায় যে তার ব্যবহার করা হয় , তা রেশম , রাসায়নিক তন্তু ও ধাতুর সূত্রে বিভক্ত করা হয় । এর মধ্যে রাসায়নিক তন্তু ও ধাতুর তার ভালো । এ দুটো সূত্র ব্যবহার করলে সংগীতের সুর আরো সুন্দর ও নরম হবে ।
ইয়্যু ছিং বেহালা দিয়ে বাজানো 'জল ছিটানো উত্সব' নামে লোক সংগীতে সংখ্যালঘু জাতি-তাই জাতির আচার ব্যবহার বিষয়ক সুর প্রকাশ পেয়েছে । এতে চীনের দক্ষিণ পশ্চিমাংশের তাই জাতি অধ্যুষিত এলাকায় জল ছিটানো উত্সবের ঐতিহ্য ও মানুষের উত্সব উদযাপনের মেতে উঠার উত্সাহব্যঞ্জক আবেগ দেখা যায় ।
চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক অপেরার সঙ্গে ইয়্যু ছিং বাদ্যযন্ত্রের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ । যেমন, পাই জাতির লোকেরা পাই অপেরা পরিবেশনের সময় সাধারনতঃ ইয়্যু ছিং বেহালা ব্যবহার করে থাকে । দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সিছুয়াং প্রদেশের আঞ্চলিক সিছুয়াং অপেরা পরিবেশনের সময়ও ইয়্যু ছিং বেহালাকে প্রধান বাদ্যযন্ত্র হিসেবে বাজানো হয় ।
চীনের বেশ কিছু সংখ্যালঘু জাতির মধ্যে ইয়্যু ছিং বেহালাকে এক ধরনের খুব জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র বলে ধারণা করা হয় । তুং জাতির লোকেরা সংগীতের সুর বাজানোর সময় সাধারণতঃ লুসেন নামের বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে ইয়্যু ছিং বেহালাও ব্যবহার করে থাকে । পাই জাতির লোকজন ইয়্যু ছিং বেহালাকে এ জাতির সান স্যুয়ান নামের প্রিয় বাদ্যযন্ত্র হিসেবে দেখেন । ই জাতির মানুষ ইয়্যু ছিং বেহালাকে ভীষণ ভালবাসেন । তারা ঐতিহ্যবাহী ইয়্যু ছিং বেহালার ভিত্তিতে স্বজাতির বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নতুন ধরনের ইয়্যু ছিং তৈরি করেছেন । মিয়াও জাতির লোকেরা উত্সব বা বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবেশ আরো আড়ম্বরপূর্ণ ও বৈচিত্র্যময় করে দোয়ার জন্য নরনারীরা সবাই ইয়্যু ছিং বেহালা বাজায় । এতে প্রিয় জনেরা পরস্পরের সঙ্গে ভালবাসা ও প্রেমের অনুভূতি বিনিময় করে থাকেন । এখন এটা মিয়াও জাতির এক ধরনের ঐতিহ্য ও রীতি-নীতিতে পরিণত হয়েছে । (থান ইয়াও খাং)
Thursday, March 11, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
1 comments:
August 1, 2010 at 1:24 AM
Thanks to introduce with new instrument.
Post a Comment