বাঁশের তৈরি সবচেয়ে জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র বাঁশি (Flute)। সাধারণত এক-দেড় ফিট লম্বা চিকন বাঁশ দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। মাথার দিকে একটি গিঁট রেখে বাঁশ কাটা হয়, যাতে ওপরের দিকটা বন্ধ থাকে এবং অপর প্রান্ত থাকে খোলা। গিঁটের কাছে একটি গোল ছিদ্র করা হয়। এটিকে বলে ফুৎকাররন্ধ্র। এর নিচে থাকে পরপর ছয়টি গোল ছিদ্র। এগুলোকে বলে তাররন্ধ্র। ফুৎকাররন্ধ্রে মুখ রেখে আড়াআড়িভাবে বাঁশিটি ধরে অপর ছিদ্রগুলিতে দুই হাতের তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকা দিয়ে বায়ু নিয়ন্ত্রণ করে এটি বাজানো হয়। বাংলা ভাষায় বাঁশী নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রচুর গান।
অপরদিকে প্রেমিকার বিরহের জন্য রচিত গানে বাঁশীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণ। কৃষ্ণের প্রেমিক পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর বৃন্দাবন লীলায়। গোপকন্যা ও গোপস্ত্রী রাধার সাথে তাঁর প্রণয়-সম্পর্ক নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক জনপ্রিয় গান। রবি ঠাকুরও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।
বাঁশী একটি অতি প্রচিন বাদ্যযন্ত্র। বাঁশীর প্রথম আবির্ভাব কত সালে তা সঠিক বলা কঠিন। তবে ধারনা করা হয় যে শ্রীকৃষ্ণের হাতে সুন্দর সুর তুলার একটা যন্ত্র ছিল। সম্ভবত তখন থেকেই বাশির আভির্বাব।
বাঁশী একটি শুষির যন্ত্র। বাঁশ থেকে তৈরী বলেই এই যন্ত্রের নাম বাঁশী। বর্তমানে বাশ ছাড়া পিতল, কাঠ, মাটি দিয়েও বাঁশী তৈরী হয়ে থাকে। বাঁশীর অনেক প্রকার ভেদ আছে- সরল বাঁশী, আড় বাঁশী, মুরলী বাঁশী, টিপরা বাঁশী, বেনু বাঁশী, লয়া বাঁশী, সানাই বাঁশী, ন্যাস তরংগ বাঁশী, শিংগা বাঁশী, রনশিংগা বাঁশী, শাখ, তুবড়ি বাঁশী ইত্যাদি রকমারী বাঁশী দেখতে পওয়া যায়।
নিচে বাশী নিয়ে কিছু গানের লিংক দেয়া হল_
■ অষ্টছিদ্রে বাঁশের বাঁশী - রুনা লায়লা
■ আমি মেলা থেকে তাল পাতার - কনক চাঁপা
■ ও বাঁশীতে ডাকে সে - সাদী মোহাম্মদ
■ কে গো নিরলে বসি - আব্দুল আলীম
■ কে বাঁশী বাজায় রে - আনিলা
■ গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে - সাদী মোহাম্মদ
■ প্রাণ সখীরে ওই শোন কদম্ব তলে বংশী বাজায় কে - ফেরদৌসী রহমান
■ বাজাও রে মোহন বাঁশী - অদিতি মহসীন
■ বাঁশী আমার বেজে বেজে - সামিনা চৌধুরী
■ বাঁশী শোনে আর কাজ নেই - পার্থ বড়ুয়া
■ বাঁশীতে মরণ ছিল বাঁধা - মিতালী মুখার্জী
■ বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশী - সাবিনা ইয়াসমীন ও কবীর সুমন
■ মরি লো মরি - রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
■ যখন ডাকলো বাঁশী - সাদী মোহাম্মদ
■ শ্যামের বাঁশী - কায়া
Sunday, January 3, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment