Sunday, January 17, 2010

তবলা

0 comments
পুরাকালে তবলাকে তলমৃদঙ্গ বলা হতো। সুরের তাল-লয় ঠিক রাখাই তবলা ও বাঁয়ার উদ্দেশ্য। বলা হয় ১৩০০ খ্রীষ্টাব্দে সম্রাট আলাউদ্দীনের সময় পারস্যেদশীয় কবি ও সঙ্গীতবিদ আমীর খসরু তবলা আবিষ্কার করেন। কোন একদিন মৃদঙ্গ জাতীয় দুইদিক চামড়ায় ছাওয়া যন্ত্র ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়, কিন্ত তার পরেও তা থেকে সুন্দর অওয়াজ বের হয়। শুনে মুগ্ধ খসরু বলেন "তব ভি বোলা"।  ধারণা করা হয় "তব ভি বোলা" থেকেই  তবলা শব্দটির উৎপত্তি। তবে এ নিয়ে মতভেদও আছে। তবলার চরম উৎকর্ষ সাধিত হয় ওস্তাদ সুধা খাঁর হাতে।

তবলা আনদ্ধ জাতীয় ঘাতবাদ্যযন্ত্র। দুই অংশে বিভক্ত। ডান হাতে বাজাবার অংশটিকে ডাইনা (ডাহিনা, ডাঁয়া)আর বাম হাতে বাজাবার অংশকে বাঁয়া / ডুগি বলে। ডাইনা অংশটি কাঠের তৈরী। উচ্চতা সাধারণত ৯-১২ ইঞ্চি। বায়া অংশটি মাটি কিংবা পিতলের। দুই অংশের উপর চামরার ছাউনি এবং কম্পন প্রলম্বিত করার জন্য গাব বা খিরণ দেয়া থাকে। চামড়া দিয়ে ঢাকা আস্তরণের প্রান্ত ঠুঁকে স্বরের উচ্চতা ও লঘুতা ঠিক রাখা হয়। তবলার বিশেষত্ব এর জটিল অঙ্গুলিক্ষেপনজাত উন্নত বোল। আঙুল দিয়ে বাজানো হয় বলে একে তঙ্কারযন্ত্রও বলা হয়।
তবলা বাদক শিল্পীকে বলা হয় তবলিয়া। তবলচি শব্দটি আগে একই অর্থে প্রচলিত ছিল, কিন্তু বাইজীগান বা খেমটানাচের সঙ্গতকারীদের জন্য বেশী ব্যবহৃত হওয়ায় অনেকে একে অশ্রদ্ধাজনক বলে মনে করেন, তাই তবলচির বদলে তবলিয়া শব্দটির চল হয়।

গানের মত তবলার কম্পোজশান আছে, সেগুলোকে কায়দা বা রেলা বলে। এর বোলগুলো রেলা, কায়দা, গৎ, আঁড়ি, কুআঁড়ি ও গৎপূরণ নামে পরিচিত। কায়দা একটু ধীরে বাজে, রেলা খুব দ্রুত বাজে। এখানে শুনছেন একটা ফরুক্কাবাদ ঘরনার কায়দা। ঘরানা হল স্টাইল। এই স্টাইলের প্রবর্তক ওস্তাদ কেরামত উল্যাহ খাঁ।যেমন_
ধা ধিন ধিন না
ধা ধিন ধিন না
না তিন তিন না
তেটে ধিন ধিন না।।

Tabla4.mp3

0 comments:

Post a Comment