বীণা অতি প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির এক সূরযন্ত্র। ধারনা করা হয় প্রাচীন বেদিক সভ্যতার সময়ে শিকারীর ধনুকের আওয়াজ থেকে এই যন্ত্রটির আবিস্কার করে তখনকার সময়ের পুংটারা নামে পরিচিত ছিল। এটা খ্রীষ্টপূর্ব প্রায় ১৫শ বছর আগের বলে কেউ কেউ মনে করেন :- কালের পরিক্রমায় বিবর্তিত হতে থাকে এটির গঠনশৈলি ও নাম। কখনো তান্জাভুর বা রাঘুনাথা বীণা, কিন্নরী বীণা, রূদ্র বীণা, স্বরসতী বীণা ইত্যাদি। আবার কখনোবা বিচিত্র বীণা বা মোহন বীনা। উল্লেখ্য যে সংগীতের অন্যতম আদিগুরু তানসেনের প্রিয় যন্ত্র নাকি ছিল রূদ্র বীণা। আর হিন্দুদেবী স্বরসতীর নামেই তো বীণার নামকরন হয়ে গেছে। এটির আধুনিক সংস্করণ- মোহন বীণা দেখতে ও শুনতে অনেকটা বর্তমানের হাওয়াইন গীটারের মতো।
যা হোক যন্ত্র হিসাবে বর্তমান যুগে ততোটা আদরনীয় না হলেও এটি অত্যান্ত কুলীন একটি বাদ্যযন্ত্র এবং শাষ্ত্রীয় ও ধ্রুপদী সংগীতে এটি যথেষ্ট মর্যাদার সাথেই, বিশেষ করে দক্ষিন ভারতীয় সংগীতে এখোনো ব্যবহ্রত হয়।
লিখেছেন : হাসান মনজুর
Monday, September 20, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment