Thursday, January 14, 2010

সন্তুর

0 comments
সন্তুর হার্প জাতীয় বাদ্যযন্ত্র। গঠনাকৃতি অনেকটা সুরমন্ডলের মত। এর তারের সংখ্যা ২৪ থেকে ৩০ বা তারও বেশী হতে পারে। একে শততন্ত্রী বীণাও বলা হয়। যেমনঃ এক তার হলে একতারা, দুই তারে দোতারা- এভাবে শত তারে শততন্ত্রী। পারস্যেও এই ধরণের বাদ্যযন্ত্র রয়েছে যার পার্সিয়ান নাম সন্তুর(سنتور)। এই নাম থেকেই শততন্ত্রী বীণা সন্তুর নামেই পরিচিত। এই যন্ত্রটি কাঠের তৈরি এবং ট্রাপিজয়েড আকৃতির হর আর সুরের দ্যোতনা সৃষ্টির জন্য তারের বিভিন্ন সন্নিবেশ এবং যান্ত্রিক প্রকৌশল রয়েছে। কাশ্মিরের লোকগীতিতে সন্তুর স্থান দখল করে আছে। কাশ্মিরী সন্তুর পার্সিয়ান সন্তুরের চেয়ে অনেকটা আয়তাকার। পার্সিয়ান সন্তুরে যেখানে ৭২টি তার সেখানে কাশ্মীরী সন্তুরে আরও বেশি তার যুক্ত করা যায়।
দুটো জোড়া তার এক সুরে বাধা হয়। রাগ রাগীনির সাথে সামজ্ঞস্য রেখে সুর বাধা হয়। তারগুলো একটা কাঠের বোর্ডের কীলকে আবদ্ধ থাকে। সুর তিন সপ্তকে মিলাতে হয়। দুটো কাঠি দিয়ে সন্তুর বাজানো হয়।
বাংলাদেশে এই যন্ত্রের খুব একটা ব্যবহার দৃষ্টিগোচর হয়নি। তবে বিটিভির বিভিন্ন প্রামান্য অনুষ্ঠানের নেপথ্য বর্ণনার সাথে এই বাদ্যের ব্যবহার শ্রুত হয়েছে। ভারতের কয়েকজন নিবেদিত প্রাণ কলাকার এই বাদ্যযন্ত্রকে বিশ্বের কাতারে নিয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, ভজন সপরি, রাহুল শর্মা, কিরণপাল সিং দেওরা প্রমুখ।
তথ্য সংগ্রহঃ সাম ব্লগ, উইকিপিডিয়া

0 comments:

Post a Comment